অনিয়মিত মাসিক /পিরিয়ড ও দূস্চিন্তা

সুস্থ্য / সবল প্রাপ্ত বয়স্ক  মেয়েদের  প্রতিমাসে  মাসিক  হয় । বেশির  ভাগ  নারীর    ২৮ দিন  পর  পর  মাসিক হয় । ৭ দিন  আগে (২১ দিন )বা ৭ দিন পর (৩৫ দিন ) পিরিয়ড  হলেও  সেটা  সাভাবিক । সুতরাং  ২১ দিন আগে  বা  ৩৫ দিন পর মাসিক হলে  সেটাকে অনিয়মিত  পিরিয়ড  বলে । পিরিয়ড  ৭ দিনের  বেশি

স্থাযী  থাকলেও  সেটা  অনিয়মিত ।  অনিয়মিত  পিরিয়ড  সমস্যা  নিয়া  বহু  অভিভাবক  এবং  নারীরা দু:সচিন্তায় পড়েন ।

জীবনের  ৩ টি  ধাপে  অনিয়মিত  মাসিককে  নরমাল  বলা  যায় :

১।বয়ঃসন্ধিকাল

২।  সন্তান  প্রসবের  পর এবং

৩।মেনোপজ  এর ২/৩ বছর  আগে ।

এই  ৩ সময়  ব্যতীত অনিয়মিত  মাসিক   এর  পিছনে  অনেক  কারন  নিহিত  রয়েছে । কারণগুলি  জানা  জরুরি  –

শরীরের  সঠিক  ওজনের  চেয়ে  কম বা  বেশী  ওজন ।

অতিরিক্ত  মানসিক  চাপ

হরমোনের  ভারসাম্যহীনতা

থাইরোযেড  সমস্যা

PCOD

অতিরিক্ত  ব্যয়াম / পরিশ্রম

জীবনযাত্রার  পরিবর্তন

অপুস্টি

জন্মনিয়ন্ত্রণ  পিল / ইনজেকশন

ইমার্জেন্সি  পিল

গর্ভপাত

অনিযনত্রিতো  ডায়াবেটিস

যক্ষা

নিয়মিত  পিরিয়ড  না হলে ডিম্বাশয় থেকে  ডিম  মুক্ত  হয় না  বলে  গর্ভধারণ  ও হয় না ।

সর্বোপরি  পিরিয়ডের  সময়  পর হলে  বিবাহিত – অবিবাহিত  উভয়  ধরনের  নারীরা বিষন্ন  থাকেন ।

এমতাবস্থায় বিশেষজ্ঞ  ডাক্তারের  শরনাপন্ন  হওয়া  দরকার ।

ডাঃ নুরজাহান বেগম

সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়