গর্ভাধারনের আগে মেয়েদের নিজে সুস্থ্য থেকে সুস্থ্যবেবী উপহার দেওয়ার জন্য শুধু চিকিৎসা বা চেক -আপ নয় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে ;সরল মুরুব্বিদের কুসংস্কারের বেড়াজাল থেকে বের হতেই হবে :

গর্ভাধারনের  আগে মেয়েদের  নিজে সুস্থ্য  থেকে  সুস্থ্যবেবী  উপহার  দেওয়ার  জন্য  শুধু  চিকিৎসা   বা  চেক -আপ  নয়  কিছু  নিয়ম  মেনে  চলতে  হবে ;সরল  মুরুব্বিদের   কুসংস্কারের  বেড়াজাল  থেকে  বের  হতেই   হবে   : 

গর্ভোপূর্ব করনীয় :

* পরিকল্পনা – ক্যারিয়ার  গঠনের  পাশাপাশি  মেয়েদের  সংসার  গঠনেরও  পরিকল্পনা  স্বামীর  সাথে  আলোচনা  সাপেক্ষে  করতে  হবে ।

* গোর্ভোপূর্ব চেক – আপ  করাতে  হবে । উক্ত  চেক  -আপে ডাক্তারের  দেওয়া  পরীক্ষা – নিরীক্ষাগুলো  উন্নত মানের  হাসপাতাল  থেকে  করানোর  পর    ত্রুটি   অনুযায়ী   পুরো   চিকিৎসা   নিয়া  সুস্থ্য  হতে  হবে ।

* কৃমিনাশক  ঔষধy  সেবন  করতে  হবে    ।

* দাউদের  চিকিৎসা  নিতে  হবে  ।

*খোস-পাঁচড়া  নিরাময়  করতে  হবে ।

* যৌন – বাহিত  রোগে  ভূগোলে   দম্পতির  চিকিৎসা  পুরোদস্তুর  করতে  হবে ।

*  টিটেনাস জন্ডিস  হামের  টিকা  নিতে  হবে ।

* রক্তশূন্যতা  দূর  করতে  হবে ।

হার্ট / কিডনী  /ফুসফুসের / রক্তের   রোগ  t থাকলে বিশেষজ্ঞদের  পরামর্শ  নিয়া  কনসিভ করতে  হবে ।

* গর্ভধারনের  ৩ মাস  আগে  থেকেই প্রতিদিনই   ট্যাবলেট  ফলিক এসিড ( (5mg  )  খেতে  হবে ।

* শরীরের  ওজোন উচ্চতা  ও বয়স  অনুযায়ী  ঠিক  রাখতে  হবে ; স্থূলতা /অস্বাভাবিক কম  ওজন  কোনটাই  ভালো  না ।

মোলার প্রেগনেন্সির  এক  বছর  ফলো -আপে   রক্তের  বিটা এইচ  সি  জি   (beta hcg ) পর  পর  ৩ বার  নরমাল  হলে  প্রেগনেন্সি  নেওয়া  যাবে ।

* গর্ভপাতের  পর  ১ বার  মাসিক  না  হওয়ার  আগে  বেবি  কন্সীভ করা  ঠিক  হবে  না ।

* গর্ভাশয়  বা  জরায়ুর  টিউমার  অপসারন  করতে  হবে

* জরায়ু  বা  যোনিপথের  পর্দা  থাকলে  কেটে  ফেলতে  হবে

* ধুমপান / মদপান / নেশায় আসক্ত  ড্রাগ  কনসিভের  ৩ মাস  আগে  বন্ধ  করতে  হবে ।

* ডায়াবেটিস / উচ্চরক্তচাপ .থাইরয়েড  ডিজঅর্ডার  নিয়ন্ত্রনে  আনতে  হবে ।

* মৃগী .সরিয়াসিস  আর্থাইরইটিস  SLE  ইত্যাদি  রোগের  উপশম  অবস্থায়  গর্ভধারণ  করতে  হবে এবং  ডাক্তারের  দেওয়া  পরিবর্তিত  মেডিসিন  খেতে  হবে ।

* কেমো  বা রেডিও থেরাপি  শেষ  হওয়ার  কমপক্ষে  ৬ মাস  পর    কনসিভের চেস্টা  করা  যাবে ।

* জরায়ুর  মুখের  ক্যানসারের  টিকা এবং  হামের  শেষ  টিকার  তারিখের  ৬ মাস  পর

  কনসিভ  করা  বাঞ্ছনীয় ।

* মানসিক  রোগের  ঔষধi ডাক্তার দ্বারা  পরিবর্তন  করাতে  হবে ।

* বংশগত  অসুখ যেমন  সিকিল  শেল  ডিজিজ (sickle  cell  disease  সিস্টিক  ফাইব্রোসীস) থাকলে  ভ্রুন  পরীক্ষা  করে  নিতে  হবে ।এসবক্ষেত্রে স্বাভাবিক  প্রেগনেন্সি  নেওয়া  যাবেনা ; IVF  বা  ICSI  করা  বাঞ্ছনীয় ।