গর্ভাবস্থায় করনীয় ; পর্ব – ২

গর্ভাবস্থায়  করনীয় ; পর্ব – ২

* চেক – আপে  অবহেলা  করা  যাবেনা ;

গর্ভের  প্রথম ৭ মাস  পর্যন্ত  মাসে  একবার

অস্টম   (৮ ম )

 ৮ ম     মাসে  ১৫ দিন  পর  পর ,

 ৮ মাসের  পর  থেকে সপ্তাহে  ১ বার  ডেলিভারি  পর্যন্ত ।

উপরোক্ত  নিয়মে  চেক -আপে  ব্যর্থ  হলে  বিশ্বস্বাস্থ্য  সংস্থা  অনুযায়ী  কমপক্ষে  ৪ বার  চেক – আপ  করাতে  হবে –

১৬ সপ্তাহের মধ্যে  প্রথমবার

২৪থেকে২৮ সপ্তাহে

৩২ সপ্তাহে

৩৬ সপ্তাহে  ।

* USG  ছাড়াও  বিশেষজ্ঞ  এর  দেওয়া  রক্ত  ও প্রস্রাব  পরীক্ষা  ভালো  হাসপাতাল  থেকে  করে   ডা: কে  দেখানোর  পর  চেক -আপ  ফাইলে  রাখতেন  হবে ।

* মা  ,বোন , ফুফু , ও  দাদীর  ডেলিভারির  ইতিহাস  জেনে  রাখতে  হবে ।

 * বিশেষজ্ঞ  ডাক্তারের  প্রেসক্রিপশন  অনুযায়ী  আয়রন .ফলিক এসিড ও  ক্যালসিয়াম  খেতে  হবে ।

* ইনফেকশন  বা  ছোঁয়াচে  রোগ  বহনকারী  রোগী  থেকে  দূরে  থাকতে  হবে ।

* পরিছন্নতা :

হাত – পায়ের  নখ  ছোটো  করে  কেটে  রাখতে  হবে ;

প্রতি  খাবারের  আগে  ও পরে  দাঁত  ব্রাশ  করতে  হবে ।

 যৌনাঙ্গের  পরিছন্নতা  বজায়  রাখতে  হবে ।

* ডেলিভারি  পরিকল্পনা : ডেলিভারি  সময়ের  আগেই  হাসপাতাল , যাতায়াত  বাহন ,  গর্ভবতীর  বিস্বস্ত  সাথী এবং  অর্থের  যোগান  ণিস্চিত  করতে  হবে ।

* গর্ভবতীর  রক্তের  গ্রুপের  সাথে  মিলায়ে  ২/৩ জন  ডোনার  রেডি  রাখতে  হবে ।  ডোনারের  কন্ট্যাক্ট  নং  যত্ন  সহকারে  প্রেসক্রিপশন  ফাইলে  রাখতে  হবে ।

*  গর্ভবতীর  রক্ত  নেগেটিভ এবং  তাঁর  স্বামীর  রক্ত  পজিটিভ  হলে , ডাক্তারের  পরামর্শ  অনুযায়ী  রক্ত  টেস্ট  করাতে  হবে ও  বড় হাসপাতালে  ডেলিভারির  ব্যবস্থা  নিতে  হবে  এবং  ইনজেকশনের  টাকা  রেডি  রাখতে  হবে ; বেবির  চিকিৎসা  করার  মানসিক  প্রস্তুতি  থাকতে  হবে ।

* গর্ভবতীর  HbsAg পজিটিভ  হলে  , বেবীকে  ২ ধরনের  টিকা  দেওয়ার  ৩/৪ হাজার  টাকা  বাড়তি  রাখতে  হবে ।

* গর্ভকালীন  ঝুঁকি বা  বিপদ  সংকেতগুলো সম্বন্ধে  জ্ঞান  / শিক্ষা  থাকতে  হবে ।