গর্ভাবস্থায় হেপাটাইটিস C ভাইরাস সম্বন্ধে কিছু তথ্য

গর্ভাবস্থায়  হেপাটাইটিস  C ভাইরাস  সম্বন্ধে  কিছু  তথ্য:

ঐ ভাইরাস  মা  থেকে  বাচ্চাতে  খুব  কম  (১ থেকে  -৪ %)যায় ।মা  থেকে  বাচ্চারাতে  যাওয়া  বন্ধের  উপায়  নায় ।  বাচ্চাকে  ইনজেকশন  দেওয়ারও  কোন  উপায়  নায় ।  হেপাটাইটিস  সি  ভাইরাস  প্রতিরোধের  কোনো  vaccine  নায়।  সি  ভাইরাসে  সংক্রমন  বাচ্চা  প্রসবের  পর পরই  রক্ত  পরীক্ষায়  বুঝা  কঠিন । বাচ্চার ২ মাস (মতান্তরে  ১২ বা  ১৮ মাস ) বয়সে  রক্ত পরীক্ষা  করে  হেপাটাইটিস  সি  সনাক্ত  করা  যায় ।

গর্ভাবস্থায়  গর্ভবতীর  চিকিৎসা  নিশিদ্ধ ।  তবে   দলগতভাবে  প্রসূতি এবং  লিভার  বিশেষজ্ঞদের  তত্ত্বাবধানে  থাকতে  হবে ।

স্তনের  বোঁটায়  কোন  ক্ষত  না থাকলে   বাচ্চাকে  বুকের  দুধ  পান করা  যাবে ।  প্রসবের  পর   রুগীর  চিকিৎসা  লিভার  বিশেষজ্ঞ  এর  চিকিৎসাধীনে  করা  বাঞ্ছনীয় ।

   শরীরে  সি  ভাইরাস  ঢুকে  বহুদিন  সুপ্ত  থাকে ; ২০ বছর পর সিরোসিন  বা  লিভার  ক্যানসার হতে  পারে । লিভার  অকেজো  হয় ।

সি  ভাইরাসের  চিকিৎসা  বের  হয়েছে ; দীর্ঘদিন

ধরে  সি  ভাইরাস  আক্রান্ত  রুগীর  চিকিৎসা  করতে  হয় ।

মিসেস  অনিমা .২২ বছর  ৩৮ সপ্তাহের  গর্ভবতী । তিনি প্রথম  থেকেই  আমার  কাছে  গর্ভকালীন  চেক -আপ  এ  আছেন  । তিনি  হেপাটাইটিস  বি  এবং  সি  পজিটিভ । তাঁর  চিকিৎসায় হেপটোলোজিস্ট  জড়িত  আছেন ।

৭ ই  ফেব্রুয়ারি   অনিমার    সিজার  হবে ।

বাচ্চা  হেপাটাইটিস  বি  নেগেটিভ  হলে  ইম্মিনোগ্লোবিন  ও  ভ্যাকসিন  দেওয়া   হবে  এবং  বাচ্চাটি কে  বুকের  দুধ  পান করনো  যাবে ।

বাচ্চাটির  Anti HCV ২ মাস  পরে  করা  হবে ।

আজ ৭ ফেব্রুয়ারি  বিকাল  ৪ টার  সময়  অনিমা  সুস্থ্য  মেয়ে  বাচ্চার  মা হলেন ।  বাচ্চার  ওজন  ৩.২ কেজি ।  বাচ্চা  হেপাটাইটিস বি  নেগেটিভ ;আলহামদুলি্লাহ ।

বাচ্চাটির  Anti HCV ২ মাস  পরে  করা  হবে ।

ডাঃ নুরজাহান বেগম

সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়