গর্ভাশয়ের টিউমার বা ফাইব্রয়েড ও গর্ভধারণ এবং বার বার গর্ভপাত নিয়া কিছু তথ্য

গর্ভাশয়ের  টিউমার  বা  ফাইব্রয়েড   ও  গর্ভধারণ  এবং    বার  বার   গর্ভপাত   নিয়া  কিছু  তথ্য

ফাইব্রয়েড হচ্ছে জরায়ুর  নিরীহ  জাতের  টিউ মার -ফাইব্রয়েড  ক্যানসার  নয়  । এ  ধরনের  টিউমার  জরায়ুর  বিভিন্ন  জায়গায়   তিন  দেওয়ালেই  হতে  পারে ।

*  জরায়ুর  সবচেয়ে  ভিতরের  আবরনের (Endometrium)  টিউমার কে          সাবমিউকাস  (Subsmucous) ফাইব্রয়েড বলে । সাবমিউকাস

* জরায়ুর  মাংসের  মধ্যে  হলো  ইন্ট্রোমুরাল(Intramural) ফাইব্রয়েড বলা  হয় ।

* জরায়ুর  উপরিভাগের  ফাইব্রয়েড কে  সাবসেরাস   (Subserous)  বলে  ।

অসুবিধা :

সাবমিউকাস  ফাইব্রয়েড  গর্ভধারণ  ও  গর্ভপাতের  উপর  নেগেটিভ  প্রভাব  ফেলে ।

এ  ধরনের  ফাইব্রয়েড ভ্রুনের  জরায়ুতে  প্রতিস্থাপন  প্রতিহত  করে বলে  বন্ধ্যত্ব  ও গর্ভপাত  হয় ।

 ভ্রুন প্রতিসস্থাপিত হলেও  ভালোভাবে  গ্রথিত (Implantation) হতে  পারেনা -ফলত: গর্ভপাত  হয় ।

গোর্ভোফূল  বড়  হতে  ও বিস্তার  করতে  পারেনা  বলেও  গর্ভপাত  হয়  ।

* এ টিউমার  যদি  টিউবের  বা  জরায়ুর  মুখ  বন্ধ  করে  তবে  বন্ধ্যাত্ব হয়  ।

ইন্ট্রোমুরাল  ফাইব্রয়েড যদি  খুব  ছোট  হয়  এবং  জরায়ুর  দেওয়াল   ভিতরে  চাপ  দিয়া  গহ্বরকে  এবড়োথেবড়ো  না করে  তবে বন্ধ্যাত্ব  ও গর্ভপাত  কোনটি  হয়না ।

পক্ষান্তরে .এ  জাতের  ফাইব্রয়েড বড় হলে এবং জরায়ুর  গহ্বর এবড়োথেবড়ো হলে  বন্ধ্যাত্ব এবং  গর্ভপাত  ২ টিই  হতে  পারে  ।

সাবসেরাস ফাইব্রয়েড সাধারনত: বন্ধ্যত্ব  ও  গর্ভপাতের  উপর  কোন  প্রভাব  ফেলে  না ;

তবে  গর্ভাবস্থায়  মোচড়  খেলে  জরুরি

অপরেশোন  লাগে ।

 গর্ভাবস্থায়  সব ধরনের      ফাইব্রয়েড এ  রেড  ডিজেনারেশন  হয় ।  এ  পরিবর্তনে  পেটে  ব্যথা .জ্বর ও বমি  ভাব  বা বমি  হয় । এহেন  পরিস্থিতিতে  রোগীকে  হাসপাতালে  ভর্তি করে  চিকিৎসা  করতে  হয় ।

 ফাইব্রয়েড ছোট  হলেও বন্ধ্যাত্ব  এর  অন্য  কারন  নাসা থাকলে  অপারেশন  করে  ফেলে  দেওয়া  জরুরি ।

* বার  বার  গর্ভপাত  হলে  জরায়ু  রেখে  ফাইব্রয়েড ফেলে  দিতে হবে  ।

অতএব  জরায়ুতে  ফাইব্রয়েড হলে  আতংকিত  না হয়ে  ডাক্তারের  পরামর্শ  নিতে হবে  ।

ডাঃ নুরজাহান বেগম

সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়