প্রসবের পর মেয়েরা মানসিক ভাবে অসুস্থ্য হলে আপনজনদের মায়া – মমতা মাখা সেবা- যত্ন এবং অকৃত্রিম ভালোবাসার পাশাপাশি চিকিৎসাও জরুরি হতে পারে :

প্রসবের  পর  মেয়েরা  মানসিক ভাবে  অসুস্থ্য  হলে  আপনজনদের  মায়া – মমতা  মাখা   সেবা- যত্ন এবং  অকৃত্রিম  ভালোবাসার  পাশাপাশি  চিকিৎসাও  জরুরি  হতে পারে :

বহু  আকাঙ্ক্ষিত ও পরিকল্পিত  বেবি  প্রসবের  পর  বেশ  কিছু  সংখ্যক  মেয়ে  মানসিক  অসুস্থতায় ভুগে ।

কারন –

প্রকৃত  কারন  বের  করার   গবেষনা  এখনও  চলছে । কিছু  সম্ভাব্য  কারনগুলো –

* প্রসবের  পর  শরীরে  হরমোনের  ভারসাম্যহীনতা  ।

* ভীষন  ক্লান্তি ।

*  বেবি লালন – পালনে অতিরিক্ত  দ্বায়িত্বভার ।

* বেবির  আশাব্যঞ্জক  লিঙ্গের  অমিল  ।

*বেবির  শারীরিক ও  মানসিক  বিকলাঙ্গতা  নিয়া মানসিক  উদ্বিগ্নতা ,  পরিবার  এবং  সমাজের  অসহযোগিতা ও  বিদ্রুপ ।

*বেবির  পরিচর্যার  জন্য  ঘুম  ও বিশ্রামের  অভাব ।

* পারিবারিক  দ্বন্দ -কলহ  ।

* স্বামী ও  পরিবারের  সদস্যদের  সাহায্য – সহযোগীতার  অভাব ।

* স্বামী – স্ত্রীর  মধ্যে  বিরহ  বা  সেপারেশন / ডিভোর্স  ।

* অর্থ – সংকট  ।

* আগে   থেকেই  মানসিক  রোগী  হয়ে  থাকলে  ।

* নিজের  ও বেবির  প্রয়োজনের  জিনিসপত্র  নাগালের  বাইরে  হলে ।

ধরন / টাইপ  এবং  শুরুর  সময় –

৩ ধরনের –

১ । পোস্টপারটাম  ব্লু – সাধারনত : প্রসবের  ১ সপ্তাহের  মধ্যে  হয়ে  থাকে । সাহায্য -সহযোগীতা ও  সেবা -যত্নেই  সেরে  যায় ।  খুব  কমক্ষেত্রে  চিকিৎসা  লাগে ।

২ ।  পোস্টপারটাম ডিজঅর্ডার –   প্রসবের  ২ থেকে  ৩ সপ্তাহের  মধ্যে  হয়ে  থাকে ; সেবা – যত্নের  পাশা – পাশি  চিকিৎসাও  লগে ।

৩। পোস্টপারটাম সাইকোসীস- প্রসবের  পর  যেকোনো  সময়  হতে  পারে ; চিকিৎসা  জরুরি । সঠিক  সময়ে  সুচিকিৎসা  না  করলে  মা  বাচ্চা  উভয়েরই  মারাত্বক  ক্ষতি  হতে  পারে । মা  বেবীকে  মেরে  ফেলতে  চান এবং  নিজেও  আত্বহত্যা  করতে বার  বার  ব্যবস্থা  নিতে  থাকেন ।   এক  বছর  বা  আরো  বেশিকাল  স্থায়ী  হতে  পারে । তবে  চিকিৎসা রোগের   শুরু  থেকেই  সঠিক  হলে  আগেই  নিরাময়  হয় ।  আমিন  ।

উপসর্গগুলো –

অত্যধিক  ক্লান্তিবোধ

ক্ষুদামন্দা

নিজের  ও বেবির  পরিস্কার – পরিছন্নতা.খাবার  এবং  যত্নের  ব্যাপারে  উদাসীনতা ।

উদ্যম – উৎসাহ  না  থাকা

বীমর্স  থাকা / নিশ্চুপ  থাকা

বিনা  কারনে  চেঁচামেচি  করা

বাড়ি  থেকে  যেখানে – সেখানে  চলে  যাওয়া

বেবি  ও  আপন  মানুষকে  প্রহার  করা

জিনিসপত্র  ভেংগে  ফেলা

বেবির  ও নিজের  প্রান – নাশের  জন্য  বিভিন্ন  ধরনের   ফন্দি  আটা  ও পদক্ষেপ  নেওয়া ।

 সচেতনতা : প্রাথমিকভাবে  রোগী  তাঁর   ভালো  না  লাগা  বা  অসুবিধা  বুঝেও  লোকলজ্জার  ভয়ে  চেপে  থাকেন ; পরিবারের  ও কাছের  আপনজনকে  প্রসূতির মনোভাব  ও  আচরন

 খেয়াল করে  বুঝে  তাৎক্ষনিক  ব্যবস্থা  নিতে  হবে । বিশেষ  করে  বেবি  লালন  পালনে  সাহায্য  করতে  হবে ,তার ঘুম – বিশ্রাম  , খাবার  ও  অন্যান্য  চাহিদা  নিস্চিত  করতে  হবে ।

চিকিৎসা –

উপসর্গ  ও আচরন . পরীক্ষা   ebongমনোভাবের  ভিত্বিতে  মনোরোগ  বিশেষজ্ঞ  চিকিৎসা  নির্ধারন  করবেন ,  ভিডিও  বা  ওনলাইন  থেকে  চিকিৎসা  নিজেরা  প্রয়োগ   কোনমতেই  সঠিক  নয় ।

চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো  হচ্ছে –

* রোগীর  পছন্দ ব্যক্তির  সংগা দেওয়া

* রুগীর  চাহিদা  পুরন  করা

* পরামর্শ  দেওয়া

* কাউন্সিলিং  করা

* ব্রেনে  ইলেক্ট্রিক  সক দেওয়া

অনুরোধ : প্রসবপরবর্তী  অসুস্থ্যতার  প্রতি  গুরুত্ব  আরোপ  করার  অনুরোধ  রইলো