প্রেগনেন্সিতে জরায়ুর টিউমার বা ফাইব্রয়েড (myoma ) .মা ও বাচ্চার কি কি জটিলতা করে :

প্রেগনেন্সিতে  জরায়ুর  টিউমার  বা ফাইব্রয়েড (myoma ) .মা ও বাচ্চার কি  কি  জটিলতা  করে :

* প্রেগনেন্সিতে এ জাতের  নিরীহ  টিউমার আকারে  বড়  হতে  থাকে গর্ভবতীর শরীর  থেকে বাড়তি  রক্ত  পরিসঞ্চালন  ও  পুস্টির  মাধ্যমে । ফলতঃ  গর্ভস্থ  বেবি  পর্যাপ্ত  পুষ্টি  না  মেয়ে  স্বাভাবিক  এর  চেয়ে  কম  বৃদ্ধি  পায় ; এ   ধরনের  বেবীকে  IUGR বলে ।

 * গর্ভফুল   ফাইব্রয়েড এর  উপর  থাকলে  জরায়ুতে  সঠিক ভাবে  গ্রোথিতো  না হওয়ার  জন্য   নিজের  অবস্থানে  আটকে  না  থেকে  সরে  গিয়া (placental  Abruption) বাচ্চার  পুষ্টি  ও  অক্সিজেনের  অভাব  ঘটে বলে

  *  মিসক্যারেজ বা  পেটে  বাচ্চা  মরে  যায় (IUD).

  * সময়ের  আগে  প্রসব  হয় ।

     *  রেড   ডিজেনারেশোন  –  ফাইব্রয়েড আকারে  বড়  হওয়ার  ফলে  ইহার  মধ্যের  অংশ  রক্ত  ও  অক্সিজেন  এর  অভাবে  পঁচতে  শুরু  করে ; একে  রেড  ডিজেনা-

রেশোন  বলে । রেড ডিজেনারেশোন এ  রোগী   পেটে প্রচন্ড  ব্যথা  পান .বমি  করেন এমনকি  জ্বরে  ভুগতে  থাকেন।

এহেন পরিস্থিতিতে  রোগীকে  হাসপাতালে  ভর্তি  করে  ব্যথার  ইনজেকশন/ মেডিসিন  সেবন   সহ  বিশ্রাম  নিশ্চিত   করতে  হয় । অপারেশন  লাগেনা – রক্ষনশীল  (conservative ) চিকিৎসায় রোগী  সুস্থ হয়ে  উঠেন ১- ২ সপ্তাহের  মধ্যে ।

*  দুর্ভাগ্যবশতঃ .  সামান্য  কিছু  ক্ষেত্রে পচনশীল  ফাইব্রয়েড ফেঁটে  গিয়া  প্রচুর  রক্তপাত  হলে  অপারেশন  লাগে ।  শরীরে  রক্ত  দেওয়ার  প্রয়োজনও  হয় ।

* বাচার  অস্বাভাবিক  পজিশন হয়

 * বাধাগ্রস্ত  প্রসব  হয়

 * সিজার  লাগে

*  জরায়ু  শিথিল  হয় /সংকুচিত  হয়না ।

*  প্রসব  প্রলম্বিত  হয়

* প্রসব  বাধাগ্রস্ত  হতে  পারে

 *ডেলিভারিআর পর  প্রচুর  রক্তক্ষরন  হয়

 (post  partum haemorrhage )

  *  ফুল  এটকে  যায় (Retained  Pacenta)-  রোগীকে  অজ্ঞান  করায়ে  গোর্ভোফূল  জরায়ু  থেকে  বের  করা  জরুরি ।

সুতরাং  জটিলতা  এড়াতে  ফাইব্রয়েড  নিয়া  গর্ভধারণ  করলে  প্রথম  থেকেই  ডাক্তারের  চেক – আপ  এ  থাকবেন ।

আমাদের  দেশের  প্রতিটি  সরকারি হাসপাতালে  গর্ভকালীন  চেক  – আপ  ও  নিরাপদ  প্রসবের এবং  শরীরে  রক্ত পরিসঞ্চালনের  ব্যবস্থা  রয়েছে ।

উন্নত মানের  বেসরকারি  হাসপাতালেও  প্রসবকালীন  ও  প্রসবোত্তর এবং  প্রসবপরবর্তী  সব  ব্যবস্থায়  রয়েছে ।

কাজেই .আগে  থেকেই  হাসপাতাল  ঠিক  করে  রাখতে  হবে ।