বিলম্বিত প্রসব ( Prolonged ) কুফল ও চিকিৎসা

বিলম্বিত প্রসব ( Prolonged  ) কুফল  ও চিকিৎসা

 প্রথম গর্ভবতী  ২৪ ঘন্টার  প্রসব   বেদনার  পরও  সন্তান ভুমিস্ট এ  ব্যর্থো  হলে  বিলম্বিত  প্রসব  বলি ;যে  গর্ভবতী  আগে  নরমাল  বাচ্চা  প্রসব  করেছেন  তাঁর  বেলায়  এই  সময়সীমা  ১৮ ঘন্টা  ।  প্রসব  পদ্ধতি  অতি  ধীরে  অগ্রসর  হলে  বা  প্রসব  পদ্ধতি  অগ্রসর  না  হলে  প্রসব  বিলম্বিত  হয়  ।

 কারনগুলো  কি  কি ?

জরায়ুর  সংকোচন  দুর্বল হলে

জরায়ুর মুখ  ধীর  গতিতে  খুললে / কিছুটা

 খোলার  পর আর  না  খুললে

জরায়ুআর মুখ  খোলার  পরও   দুর্বলতার জন্য  পর্যাপ্ত চাপ  নিচের দিকে  দিতে  অপারগ  হলে  ।

বাচ্চার  মাথা  নিচে  সঠিক  পজিশন  এ  না থাকলে ।

মাথার  পরিবর্তে  শরীরের  অন্য  অঙ্গ থাকলে

 বস্তিকোটোরের  আয়তন ও বাচ্চার  মাথার  আয়তনে   অসমতা  থাকলে ।

বস্তিকোটোরের উপরের   মুখের  (Inlet )আয়তন  এর  চেয়ে  বাহিরের  (Outlet) ছোট  হলে – এহেনপরিস্থিতিতে  বাচ্চার  মাথা

 বাচ্চার  মাথা বস্তিকোটোরে  প্রবেশ  করার  পরও   বাচ্চার  মাথা  বস্তিকোটোরের মেঝেতে (Pelvic  Floor ) এটকে  গেলে  জরায়ুর  সংচনের  সময়   বড় বার  আঘাপ্রাপ্ত  হয় –ফলতঃ  বেবির  মাথায়  রক্তক্ষরন  (Intracranial  Haemorrhage) ঘটে  ও

 অকসিজেনের  ঘাটতি (Asphyxia)   ঘটে

বেবির  সাইজ  বেশ  বড় হলে

বাচ্চার  থলের  পানি  অত্যাধিক  কম (Ologohydramnios)  হলে  / বাচ্চার   থলে  ফেঁটে  গিয়া  সব  পানি  বেরিয়ে  গেলে ।

 বাচ্চার  মাথা  বস্তিকোটরে  এটকে গেলে ।

বস্তিকোটরে  বিদ্যমান  কোন  টিউমার  (ওভাররিয়ান  টিউমার / সাবসেরাস ফাইব্রোয়েড )  বাচ্চা  প্রসবের  রাস্তায়  বাঁধা  সৃস্টি  করে  বাচ্চাকে  নিচে  নামতে প্রতিবন্ধকতার  সৃস্টি  করলে ।

বাচ্চা  প্রসবের  রাস্তা অতিশয়  সংকির্ন  হলে ।  অনেক সময়  vagina  তে  বাড়তি  পর্দা  থাকলে ।

জরায়ুতে  টিউমার (Fibroid) থাকলে  প্রসব  বিলম্বিত  হয়  ।

প্রসব বেদনা  প্রতিস্ঠিত  হওয়ার  আগে  ব্যথানাশক  মেডিসিন  দিলে ।

 অথবা

 ইপিডুরাল  anaesthesia প্রসব  বেদনা  কমানোর  জন্য  জন্য  ব্যবহার  করলে  ।

  কুফল :

* ইনফেকশন

 * বাচ্চা মরে  মরে  যেতে  পারে

* Asphyxia (অকসিজেনের  অভাব )

 * প্রতিবন্ধী বেবি ।

 মা –

প্রজননতন্ত্রের  ইনফেকশন

মায়ের  মৃত্য

 জরায়ু  থেকে  অতিরিক্ত  রক্তক্ষরন

কিটোসিস (kitosis)

।চিকিৎসা :

মাকে  অকসিজেন  ও  স্যালাইন  দেওয়া

চেক  করার  পর  সবকিছু  ঠিক  থাকলে  জরায়ুর  সংকোচান বাড়ার মেডিসিন  ব্যবহার  করা ।

সিজার  করা ।

বিলোম্বীত  প্রসবের  ফলে  মা ও বাচ্চার  সাংঘাতিক  দুরবস্থা না ঘটার  জন্য আসুন  আমরা  সচেতন  হই –

* হাসপাতালে  ডেলিভারি  করার  সিদ্ধান্ত  নিই ।

*  একগুঁয়েমি  স্বোশুর  শাশুড়ি  এবং সমাজের  প্রবীনদের  ভুল  ধারনা  দূর  করার  জন্য  গর্ভোপূর্বো  যত্নের  সময়  ভালোভাবে  কাউনসেলিং  করি ।

ডাঃ নুরজাহান বেগম

সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়