মেনোপজ. উপসর্গ ও করনীয় :

মেনোপজ. উপসর্গ  ও করনীয় :

মেয়েদের  পিরিয়ড  চিরতরে  বন্ধ হওয়াই  হচ্ছে  মেনোপজ।  শৈশব . কৈশোর .যৌবন এবং   মেনোপজ   নারীর  জীবনচক্রের   বিভিন্ন  অধ্যায়  ।  সব  অধ্যায় – এ  শারীরিক  ও মানষিক   পরিবর্তন পরিলক্ষিত।

মেনোপজ এর   বয়স – ৪৫ থেকে  ৫২  বছর ; সাধারনত  ৫০ বছরে   বেশি  পরীক্ষিত  হয় ।

মেনোপজ কেন  হয় ?

 ডিম্বাশয়  থেকে  উৎপন্ন  নারী  হরমোনের  ঘাটতির  জন্য ।

মেনোপজে  সব  নারীরা  পরিবর্তনগুলোর কস্ট একই  রকম  পান  না ।

কেউ  কেউ  ভ্রুক্ষেপই  করেন  না  কেউ  আবার  অসহনীয় যন্ত্রনার  শিকার  হন – যা   চিকিৎসায় অতি  সহজে  নিয়ন্ত্রনে  আসে । চিকিৎসা  সম্পর্কে  আমরা  সচোতন না  বলে  নারীদেরকে জীবনের  এক  তৃতীয়াংশ   সময়  হেলায়  হারাতে  হয় ।

উপসর্গগুলো :

হটাৎ  করে  প্রচন্ড  গরম  লাগা

শরীরে  অস্বাভাবিক  ঘাম হওয়া

কাঁপুনি  দিয়া  ঠান্ডা  লাগা  ।  উপরের  ৩ টিকে  একসাথে  Hot Flash  বলে

অত্যধিক  ক্লান্তি – বোধ  ।

অনিদ্রা

ক্ষুধামন্দা  বিষন্নতা

শুস্ক  যৌনপথ

সহবাসে  অনিচ্ছা  ও ব্যথা

মেজাজ খিটমিটে  হওয়া

বুক  ধড়পড়  করা

অল্প  আঘাতে  শরীরের  হাড়  ভেংগে যাওয়া ( হরমোনের  অভাবে  হাড়  ক্ষয়  হয় এবং  উৎপাদন  বন্ধ  হয়ে  হাড়  নরম  ও ভঙ্গুর  হয় )

কুঁজো  হয় ( শিরদাঁড়ার  চাকতি  সংকুচিত  হয়  বলে – উচ্চতা  কমে এবং  কুঁজো  হয়  ।

শরীরের ত্বক পাতলা  শুস্ক ও জুরি  জুরি ( ভাজা ) হয়

সমস্ত  শরীরে  এবং  গিরুতে (joint) ব্যথা  হয়

স্মরণশক্তি  লোপ  পায় / কিছুই  মনে  রাখতে  পারেন না ।

স্থুলতা  পেয়ে  বসে ।

ডায়াবেটিস  / হার্ট  ডিজিজ /উচ্চ  রক্ত – চাপের  প্রকোপ  বাড়তে  থাকে ।

করনীয় :

সচেতন হয়ে –

 তাজা  শাক – সবজি .ফল _ মূল .দুধ  ছোট  মাছ  মেনোপজ হওয়ার  আগে  থেকেই  খেতে  হবে ।

প্রতিদিন  কমপক্ষে  আধা  ঘন্টা  হাঁটতে  হবে ।

সামাজিক  কাজকর্মে  নিয়োজিত  হতে  হবে  ।

ইয়োগা মেডিটেশন  করতে  হবে ।

 চিকিৎসা :

হরমোন  খেতে  হবে

হাড়ের  ক্ষয়রোধের মেডিসিন  নিতে  হবে ।

ক্যালসিয়াম  ও ভিটামিন  D  খেতে  হবে ।

 ফলোআপ -হাড়ের  ঘনোত্তো (BMD)  করতে   হবে ।

হরমোন  নিলে  কি  অসুবিধা  হয় ?

ব্রেস্ট  ক্যান্সার

জরায়ুর  ক্যান্সার ও ডিম্বাশয়ের  ক্যান্সার  হওয়ার  ঝুঁকি  বাড়ে ।

 সর্বোপরি  প্রাকৃতিক  ইস্ট্রোজেন /ফাইটোইস্ট্রোজেন  সমৃদ্ধ  খাবার  খেতে  হবে ।

 সিম

 .বরবটি

পেঁপে

ছোলা

সবধরনের  বাদাম এবং  দানাদার  খাবারে

  প্রচুর  ফাইটোইস্ট্রোজেন থাকে ।

       সব  মেনোপজাল  রোগীর  চিকিৎসার  দরকার  হয় না তবে  জীবন – যাত্রার  ধরন  পরিবর্তন  করতেই  হবে –

চা .কফি  ধূমপান  ছেড়ে দিতে  হবে

ঠান্ডা  খাবার  খেতে  হবে

শীতল  পরিবেশে বসবাস  করতে  হবে

ফ্লাট  চটি  পায়ে  দিয়া  হাঁটতে  হবে  ।

ডাঃ নুরজাহান বেগম

সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়