শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর উপকারিতা :

শিশুকে বুকের  দুধ  খাওয়ানোর উপকারিতা :

পৃথিবীর  স্তন্যপায়ী জীবের  দিকে  তাকালেই  সহজে  বুঝা যায়  এরা ইহাদের  শিশুকে  জন্মের  পর  পরই  দুধ  দেয়  অথচ  আমরা সৃস্টির  শেরা  হয়েও শিশুকে  অন্য প্রানীর  বা  ফর্মুলা  ফিড খাওয়ানোকে  আভিজাত্য  মনে  করি ।

 ভুল আভিজাত্য  পরিহার  করে .অজ্ঞতাকে  জলাঞ্জলি  দিয়া  বাচ্চাকে  পুস্ট  করে  পালনের  পাশাপাশি মায়ের  সুস্থতাকে  প্রাধান্য দিতে  প্রতিটি  মাকে  বুকের  দুধ  খাওয়ানোর  জন্য

সচেতন করি –

মায়ের  উপকারীতাগুলো #

প্রসবের  পর  কম  রক্তক্ষরন

জরায়ু ও  বোস্তীকোটোর  সঠিক  সময়ে  প্রায় পূর্বের  অবস্থায়  ফিরে  যাওয়া

ব্রেস্ট ক্যানসার  ও জরায়ুর  ক্যানসার না হওয়া

শরীরে  মেদ  না জমা / স্থূল  না  হওয়া

 ব্রেস্ট  এর  প্রদাহ  না  হওয়া

  বার  বার  দুধ   কেনার  টাকা জোগাড়  ও বানানোর  টেনশন  থেকে  রেহায়  পাওয়া

বাচ্চার  দুধ  খাওয়ার  পরিমান  ঠিক  করতে  হয়না

দুধ  গরম  করার  প্রয়োজন  পড়েনা

দুগ্ধপানের  সময়  নিয়া  টেনশনে  থাকতে  হয়  না ।

দুধে  ভেজালের  ভয়  থাকে  না

বাচ্চার  চাহিবামাত্র  দুধ  পান  করানো  যায়

শিশু রাতে  মায়ের  ঘুমের  ব্যাঘাত  না করে  নিজেই  দুধ  পান  করে

মায়ের  সাথে  বাচ্চার ভালো  বন্ধন  স্থাপিত  হয় ।

বাচ্চার  উপকারিটা :

মায়ের  দুধের  রোগ  প্রতিরোধের  এন্টিবডি   বাচ্চাকে  বিভিন্ন  রোগ  থেকে  সুরক্ষা  দেয় ।

মায়ের  দুধ  বাচ্চার  জন্য  আদর্শ খাদ্য  -শিশুর  মানসিক  ও শারীরিক  বিকাশ এবং  বৃদ্ধির  উপাদান  যেমন ভিটামিন  মিনারাল .প্রোটীন  আমিষ  ও পানি  সমৃদ্ধ ।

কানের  প্রদাহ .স্বাসকস্ট .অ্যাজমা  এলার্জি  ডায়রিয়া .পেট ফাঁপা ও  বদহজম  হয়  না ।

 বাচ্চা  প্রয়োজন মাফিক  উদর ভর্তি  করে  বিশুদ্ধ  দুধ  পান  করে উৎফুল্ল  থাকে ।

বুদ্ধিমত্তা  ভালো  থাকে ।

সুঠাম  দেহ অক্ষুন্ন  থাকে ।

স্থূল  হয়না ।

ডাঃ নুরজাহান বেগম

সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়