ওভারিতে সিস্ট আচ্ছে শুনে আতংকিত হবেন না ; কারন সব সিস্ট সাধারনতঃ ক্যানসারে মোড় নেই না এবং চিকিৎসা অস্ত্রোপচারও নয় :

ওভারিতে সিস্ট আচ্ছে  শুনে  আতংকিত  হবেন  না ; কারন  সব  সিস্ট  সাধারনতঃ  ক্যানসারে  মোড়  নেই  না এবং  চিকিৎসা  অস্ত্রোপচারও   নয় : 

￰চলুন আমরা আগে জানি সিস্ট কি?

 তরল পদার্থ বেষ্টিত থলেকে সিস্ট বলে l

ডিম্বাশয় বা ওভারির সিস্ট; ডিম্বাশয়ের / ওভারির তরলপূর্ণ থলেকে ওভারিয়ান সিস্ট বলে l

ওভারিয়ান সিস্ট নানা ধরণের হয় l ওভারিয়ান￰ সিস্ট মানে ক্যান্সার নয় l

 আজকাল বাংলাদেশের আনাচে – কানাচে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য আগের চেয়ে বেশি ওভারিয়ান সিস্ট সনাক্ত হচ্ছে l কিন্তু  দুঃখের  বিসয়  সনোলোজিস্ট  এর  রিপোর্ট  মূল্যায়ন  করতে  পারেন  এমন  মানসম্পন্ন  ডাক্তারের   শরনাপন্ন না  হয়ে  রোগী  ও পরিবারের  সদস্যরা আতঙ্কগ্রস্ত  হয়ে   যেখানে – সেখানে  ক্যান্সাররের  ভয়ে  অপারেশন  করান  যা  সুচিকিৎসা  নয় ।

এই  অপারেশন  এর  পর  অনেক  নারী  বন্ধ্যাত্ব  নিয়া  আমাদের  কাছে  আসেন । কারন .আজকাল  বিভিন্ন  ক্লিনিকে অপরিচ্ছন্ন  পরিবেশে  অদক্ষ  ব্যক্তি  দিয়া

  অপারেশোন  করার  ফলে  সিস্ট  না  ফেলে  পুরো  ওভারি  ফেলে  দেওয়া  হয় । আবার  ইনফেকশন  হয়ে  বোস্তিকোটোরের  অংগগুলি  জড়িয়ে  গিয়া  টিউব  বন্ধ  হয় ।

সুতরাং . আমাদের  সচেতন  হতে  হবে  ওভারির সিস্টের  ধরন  ও সঠিক  চিকিৎসা  পদ্ধতি  সম্বন্ধে ।

 বয়সন্ধিকালে বা সন্তানধারণে সক্ষম বয়সে নারীদের ওভারিতে যে সমস্ত সিস্ট হয় সেগুলোর মধ্যে

১ ।ফাঙ্কশনা সিস্ট এর আধিক্য পরিলক্ষিত হয় l

ওভারি থেকে ডিম্ না ফুটলে বা ডিম্বাণু বের হবার পরও ফলিকুল (যার মধ্যে ডিম্বাণু থাকে) গুলো চুপসে না গেলে ওভারিতে যে সিস্ট হয় তাকে ফাঙ্কশনাল সিস্ট বলে l হরমোনের  তারতম্যের  জন্য  ওভারিতে  ফাঙ্কশনাল সিস্ট  হয় । এ  ধরনের  সিস্টের  কোন  চিকিৎসা  লাগেনা  সাধারনতঃ  ৩ থেকে  ৬ মাসের  মধ্যে  একা  একা  সেরে  যায় তবে  অবজারভেশনে  থাকতে  হয় । সাইজ  ১ থেকে  দেড়  cm  হয় ।

এ ধরণের সিস্ট সাধারণতঃ কোনো সমস্যা করেনা,অনেক নারীর ই এ সিস্ট হতে পারে l

 অথচ,ওভারিতে সিস্ট আছে জেনে নারীরা আতংকিত হয়ে ডাক্তার বদলাতে থাকেন  বা  অপারেশন  করায়ে  ফেলেন ।

২ । লুটিয়াল  সিস্ট / corpus luteal  cyst –  ডিম্বানু  নিসিক্ত (প্রেগনেন্সি হলেই  ডিম্বানুবিহীন  থলেটি ( follicle ) ভ্রুনকে  হরমোন  সরবরাহ করার  জন্য  লুটিয়াল সিস্ট এ  রূপান্তরিত  হয় । এই  সিস্ট এর  ও চিকিৎসা  লাগেনা । সন্তান  প্রসবের  পর  এটি  চলে  যায় ।

৩। সিস্টিক  ওভারি  – ওভারিতে  বিভিন্ন  সাইজের  অনেক  সিস্ট  থাকে ; অপারেশন  লাগেনা ।  মেডিসিব  দিয়া  বন্ধ্যাত্ব  হলে চিকিৎসা  করলেই  চলে ।

৪ । থিকা  সিস্ট – ওভারির থিকা  নামক  কোষ  থেকে  এ  ধরনের  সিস্ট  হয় ; অপারেশন  লাগেনা ।

৫ । হেমোরেজিক  সিস্ট -এই  সিস্টে রক্ত  জমা  হয়- .antibiotic  বা  প্রকৃতিক  নিয়মে  এটা  সেরে  যায় ।  অনেক  সময়  ফেটে  গেলে  নিবিড়  পর্যবেক্ষনের  জন্য  হাসপাতালে  ভর্তি  লাগে ।  সামান্য  কিছু  ক্ষেত্রে  laparoscopy  লাগে  যদি  পেটে  বেশি  রক্ত জমা  হয় ।