গর্ভবতী স্তন্যদানকারী নারীর রোজ রাখা প্রসংগে কিছু তথা :

গর্ভবতী  স্তন্যদানকারী  নারীর  রোজ রাখা  প্রসংগে  কিছু  তথা :

পবিএ মাহে রমজান শুরু হযেছে -বিশ্বের মুসলিম গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিণী এবং তাঁদের

পরিবারের সদস্যরা রোজা রাখা – না রাখার চিন্তায় পড়েছেন ।

ইসলামী শরিয়ামতে উক্ত দুই শ্রেনীর নারীগণ শারীরিকভাবে সুস্থ্য -সবল ও কার্জক্ষম হলে

রোজা রাখা ফরজ ।

তবে গর্ভবতী নিজের ও গর্ভস্থ শিশুর সাস্থ্যহানির আশংকা করলে তাঁর রোজা না রাখাই শ্রেয় । তাঁকে সন্তান প্রসবের পর নীফাসের রক্ত বন্ধ হলেই সমসংখ্যক কাজা রোজা পালন করতে হবে অথবা

একজন মিসকিনকে দু ‘বেলা তৃপ্তিসহ খাওয়ানো বা এর  সমপরিমান  মূল্য রোজা শুরু হওয়ার পর  পরই একত্রে দিতে হবে ।

মতান্তরে . গর্ভবতী রোজা না করলে .কাজা -রোজা

পালন এবং মিসকিনকে খানা খাওয়ানো — ২ টি

করতে হবে ।

চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে .গর্ভবতী রোজা রাখার আগে গাইনেকোলোজিস্ট দিয়া চেক আপ করাবেন এবং নিউট্রিসনিস্ট দিয়া খাদ্য তালিকা প্রনয়ন করে তা হুবহু মেনে চলবেন ।

গর্ভবতীর  অত্যধিক মাত্রায়- ডায়াবেটিস .রক্তশূন্যতা ..পানিশূন্যতা ও কিডনী রোগে ভুগলে রোজা রাখা যাবেনা ।

সেহরী না খেয়ে রোজা রাখাও ঠিক না ।

অতিরিক্তো গরম ও দীর্ঘতম দিনে

গর্ভবতীর রোজা না রাখাই উত্তম ।

গর্ভবতী কে পানি দুধ .মাঠা .দই . মাছ মাংস তরল খাবার .ফল ও সবজি বেশি করে খেতে হবে ।

তাঁদের  ঠান্ডা  জায়গায়   থাকতে  হবে ।

গরমে  অতিরিক্ত  পরিশ্রমের  কাজ  করা  ঠিক  না ।

কাজের  ফাঁকে  ফাঁকে  বিশ্রাম  নিতে  হবে ।

 শরীর  বেশি  ঘামতে  দেওয়া  যাবেনা ।

সুতি  ঢিলেঢালা  পোশাক  পরিধান  করতে  হবে ।

অনুগ্রহ পূর্বক  আপনারা  সাধ্য  অনুযায়ী  জনগনকে  সচেতন  করবেন ।  আমিন  ।