গর্ভে জমজ সন্তান হওয়ার প্রক্রিয়া .কারন জটিলতা ও করনীয় :

গর্ভে  জমজ  সন্তান হওয়ার  প্রক্রিয়া .কারন  জটিলতা  ও করনীয় :

জমজ  বেবি নিয়া মানুষের  কৌতূহলের  অন্ত  নেই ।

কেউ জমজ  সন্তান ইচ্ছা  করে  নেন  আর  কেউ  বিমর্ষ   হন ।

কিভাবে  জমজ  সন্তান  হয় ?

২ ভাবে  জমজ  হতে  পারে ।

* ১ টি  ডিম্বানু  ও ১ টি  শুক্রানুর  মিলনের  ফলে  যে  জাইগোট  তৈরি  হয়  তা  দ্বিধাবিভক্ত  হয়ে  ২ টি  সন্তান  হয় ।

 এভাবে  জমজ  হলে  তারা  দেখতে  হুবহু  একই রকম  হয় ; লিংগোও  দু বেবির  একই  রকম  হয় ।

* আবার  ২ টি  শুক্রানু  ২ টি  ডিম্বানুকে  নিষিক্ত  করলেও  জমজ  সন্তানের  জন্ম  হয় ।

এক্ষেত্রে বেবীগুলোর  লিংগো  আলাদা  অথবা  একই  রকম   হতে  পারে ।

# নিঃসন্তান  দম্পতির   চিকিৎসা  হিসেবে  নারীর  ডিম্বাশয়  উদ্দীপ্ত  করার  মেডিসিন  প্রয়োগের  ফলে একের  অধিক  ডিম্বাণু  মুক্ত  ও নিষিক্ত  হলে ।

# IVF(টেস্ট  টিউব ) করার  সময়  একের  অধিক  ভ্রুন   একই নারীর  জরায়ুতে  একসাথে  প্রতিস্থাপন  করলে ।

#  নারীর  বয়স  ৩৫ বছরের  বেশি  হলে ।

# পরিবারে  জমজ  হওয়ার  ইতিহাস  থাকলে – মা .মাসি ও  নানী  জমজ  বেবি  প্রসব  করে  থাকলে ।

# নারী  অতিরিক্ত  ফ্যাটি  হলে ।

উপরোক্ত   কারন  ছাড়াও  জমজ  সন্তান  এমনি  এমনি  হতে  পারে ।

জটিলতা :

মা –

 গর্ভকালীন –

রক্তশূন্যতা

গর্ভকালীন  ডায়াবেটিস

প্রিএকলামসিয়া

একলাম্পশিয়া(eclampsia)

বাচ্চার  অস্বাভাবিক  পজিশন

রক্তক্ষরন

বাচ্চার –

অপরিনত বা  অপক্কো  শিশুর  জন্ম

কম  ওজনের  শিশু

জন্মগত  ত্রুটি

পেটে  বেবি  মারা  যাওয়া

মৃত  অবস্থায়  বেবির  জন্ম

জন্মের  পর  শিশুর  মৃত্যু

 প্রসবের  সময় –

সময়ের  আগে  প্রসব  বেদনা  শুরু  হয় ।

করনীয় :

ঘন  ঘন  চেক -আপ

মাকে  সুসমো  খাবার  খেতে  হবে

পর্যাপ্ত  বিশ্রামে  থাকতে  হবে ।

প্রসব  সংক্রান্ত –

আগে  থেকেই জমজ  সন্তান  প্রসবের   হাসপাতাল  ঠিক  করে  রাখতে  হবে ।

রক্তের  ড়নার  রেডি  রাখা  জরুরি ।

অর্থ .যানবাহন  লোকবল  পর্যাপ্ত  থাকতে  হবে ।

শিশুর  জন্য  NICU ঠিক  করে  রাখতে  হবে ।

অস্বাভাবিক পজিশনের  জন্য  সিজার

লাগে । এ  ব্যাপারে  পরিবারের  সদস্যদের  মানসিকভাবে  প্রস্তুত  থাকতে  হবে ।

প্রসব  পরবর্তী  যত্ন – মা ও বাচ্চাদের  বেশি  যত্ন  নিতে  হবে ।

হাসপাতালে  বেশি  সময়  রাখতে  হবে ।

প্রসবের  পর চেক – আপ  জরুরি ।