চিকিত্সা বিঞ্জানের পরিভাষায় বন্ধাত্ব হচ্ছে – কোন দম্পতির নিয়মিত অরক্ষিত এবং পর্যাপ্ত frequency তে ( সপ্তাহে ২-৩ দিন ) মিলনের ১বছর পরেও গর্ভধারণে অক্ষমতা

চিকিত্সা বিঞ্জানের পরিভাষায় বন্ধাত্ব হচ্ছে – কোন দম্পতির নিয়মিত অরক্ষিত এবং পর্যাপ্ত frequency তে ( সপ্তাহে ২-৩ দিন ) মিলনের ১বছর পরেও গর্ভধারণে অক্ষমতা l

প্রকারভেদ :

 ১. প্রাথমিক – দম্পতি কখনো গর্ভধারণ করে নাই l

২. মাধ্যমিক – দম্পতির পূর্বে গর্ভধারণ হয়েছিল এবং পরবর্তীতে গর্ভধারণে ব্যর্থ l

আসুন গর্ভধারণ কি তা জানি –

গর্ভধারণ হচ্ছে নারীর ফ্যালোপিয়ান টিউবের এ্যামপুলারী অংশে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনের ফলে জাইগোট ৈতরী l জাইগোট পিতা মাতা উভয়েরই জেনেটিক পদার্থ বহন করে l জাইগোট দ্রুত বিভাজিত হয়ে ক্রমবর্ধমানের মাধ্যমে পরিণামে নতুন শিশুতে পরিণত হয় l এক কথায় জীবনের উত্স হচ্ছে জাইগোট l শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর উত্স যথাক্রমে পুরুষের অন্ডকোষ ও মহিলার ডিম্বাশয় l পুরুষের দুইটি অন্ডকোষ অণ্ডথলিতে থাকে l অন্যদিকে নারীর ডিম্বাকৃতি ডিম্বাশয় দুইটি জরায়ুর উভয় পাশে সংযুক্ত থাকে l

পুরুষের শুক্রাণুতে X অথবা Y ক্রোমোজম এবং মহিলার ডিম্বাণুতে শুধু X ক্রোমোজম থাকে l

একটি শিশুর লিঙ্গ শুক্রাণুর ক্রোমোজমের উপর নির্ভর করে, Y ক্রোমোজম বহনকারী শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত (Fertilization) করলে একজন ছেলে শিশুর জন্ম হয় l অপরদিকে X ক্রোমোজমধারী শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর মিলনের ফলে মেয়ে শিশু জন্ম নেয় l

উক্ত সত্যতা মনে রেখেই মহিলাদের একতরফা মেয়ে শিশুর জন্মের জন্য দায়ী করা উচিত নয় l

সুতরাং কোনভাবেই সাংসারিক সুখ স্বাছন্দের বিঘ্ন না ঘটিয়ে  বিবাহ বিচ্ছেদ , পুরুষের পুনরায় বিবাহ ও নারী নির্যাতন বা দায়ী  না করার জন্য সচেষ্ট ও সচেতন থাকবো ।

ডাঃ নুরজাহান বেগম

সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

..