সোরিয়োসিস নিয়া পর পর ৩ বার গর্ভপাতের পর ৩৫ বছর বয়স্ক লিজা নাম্নী রোগীর সফল প্রসব :

সোরিয়োসিস হচ্ছে ত্বকের রোগ যা দীর্ঘমেয়াদি এবং ঘুরে ঘুরে আসে । পুরুষ – নারী যে কারো হতে পারে , ১৫ থেকে ৪৫ বছরে এ রোগ দেখা যায় তবে ২৭ বছরের পর এর প্রকোপ বেড়ে যায় ।
এই রোগে হাতের কনুই , হাঁটু , পিঠের ত্বক , হাত -পায়ের তালু এবং আংগুল .মাথার , বগলের এবং কুঁচকির ত্বকে লাল বা সাদাটে খসখসে / লাল গোল বা এ্যাবড়োথেবড়ো ক্ষত হয় ও মাছের আঁশের মতো খোসা উঠতে থাকে । আক্রান্ত স্থান শুস্ক থাকে এবং চুলকায় ও জ্বালাপোড়া করে । এই রোগের রোগীরা বিমর্ষ থাকে ; মানসিক চাপে এই রোগ বৃদ্ধি পায় । উপশম হয় এমনিইতে বা চিকিৎসায় ।

উপশম অবস্থায় গর্ভ নিতে হয় ; মজার ব্যাপার ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় এই রোগ নীরব থাকে ,১০- ২০ ভাগ ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায় । সাধারনতঃ দ্বিতীয় বা তৃতীয় তিন মাসে এই রোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে ।

শেষের দিকে ব্লাড – প্রেসারও বাড়তে থাকে । বেবি কম ওজনের হতে পারে । এই গর্ভবতীর শেষ ৩ মাসে সোরিয়োসিস বৃদ্ধি পায় এবং ব্লাড প্রেসার বাড়ে কিন্তু শরীরের ওজন কমে । বাড়তি জটিলতা এড়ানোর জন্যই ৩৭ সপ্তাহ পরেই তার প্রসব করা হয় সিজার করে । তিনি ছেলে সন্তান প্রসব করেন , ওজন ২ কেজি ৭০০ গ্রাম । বেবি সহ লিজা ভালো আছেন ।

ডারম্যাটোলোজিস্ট ও আমি যৌথভাবে তাঁর চেক – আপ করি ।

উল্লেক্ষ্য তিনি আমারই কাছে বন্ধাত্ব নিরাময়ের সন্তান ধারনের চিকিৎসা নেবার পর গর্ভধারণ করেন ।

মিসেস লিজার পরিবারে আনন্দের ঢল নেমেছে । আমিন ।