VIA Test সম্বন্ধে কিছু তথ্য:

VIA Test সম্বন্ধে  কিছু  তথ্য:

VIA Test  কি ?

VIA হচ্ছে  জরায়ুর  মুখের  ক্যান্সার  স্ক্রীনিং টেস্ট ।

স্ক্রীনিং  কি ?

স্ক্রীনিং  একটি  পদ্ধতি  যা  দ্বারা  গনহারে  সুস্থ্য   মানুষের  মধ্যে  কোন  রোগের  সম্ভাবনা  খুঁজে  বের  করা ।

VIA  কিভাবে  করে ?

মহিলাদের  জরায়ুর  মুখে ৩-৫% ভিনেগার   কিছুটা  লাগায়ে  ১ মিনিট  পর  খালি  চোখে  দেখা  হয়  জরায়ুর  মুখের পরিবর্তন ।  উক্ত  টেস্টে   মহিলাকে কোন  ব্যথার  ঔষধ সেবন  করতে  হয়না  বা  অজ্ঞান  করা  লাগেনা ।

স্বাস্থ অধিদপ্তর   ও বগবন্ধু  শেখ মুজিব  মেডিকেল   বিশ্ববিদ্দালয়ের  উদ্যোগে এবং  সরকারের  সহযোগিতায়  বাংলাদেশের   বিভিন্ন হাস্পাতালে এমন কি  কিছু  ইউনিয়ন  এর  স্বাস্হ্যকেন্দ্রে   মাহিলাদের জরায়ু – মুখের   ক্যান্সার  – স্ক্রীনিং   হিসেবে VIA পরীক্ষা  বিনা  মূল্যে চলেছে l  সরকার  সমস্ত  খরচ  বহন  করছেন ।

কত  বছর  বয়স   থেকে  VIA টেস্ট বাংলাদেশে  শুরু   করা  হয় ?

 বাংলাদেশে  ৩০ বছর  বয়স  থেকে  VIA  Test শুরু  করা  হয় ।

বাংলাদেশে  কোথায়  এবং  কোন কোন  ডাক্তার  VIA  শুরু  করার  উদ্দ্যোগ  নেন ?

বঙ্গবন্ধু  শেখ  মুজিব  মেডিকক্যাল  VIA  বিস্ববিদ্যালয়ে    VIA   প্রথম  শুরু  হয় ।

সংশ্লিষ্ট  ডাক্তারগন  হচ্ছেন –

প্রফেসর  ডা: আশরাফুননেসা

প্রফেসর     ডা: লতিফা  শামসুদ্দিন

প্রফেসর ডা: সাবেরা  খাতুন

ডা: নূরজাহান  বেগম

 VIA টেস্ট এর  সুফল   অনেক l  এ পরীক্ষার    পর  রিপোর্ট  কার্ড  দেওয়া  হয়  প্রতিটি  মহিলাকে ।

রিপোর্ট  কার্ড কি  কি  রং  এর  হয় ?

১।নীল  রং

২। লাল  রং

* নীল  রংএর  কার্ড  দিলে  বুঝতে  হবে  জরায়ুর  মুখে  কোনো  অসুবিধা  নেই ;  অর্থাৎ  জোরযূর  মুখের  কোষে  কোনই  পরিবর্তন  শুরু  হয়নি  ।  নীল  কার্ড  দেওয়া  মহিলাদের  ৩ বছর  পর  পর  VIA test করার  জন্য  কাউন্সিলিং  করা  হয়  ।  সুতরাং  গাফেলোতি  না  করে কার্ডে  উল্লেখিত  সময়  অনুযায়ী  পুনরায়  VIA  টেস্ট  করতে  হবে প্রতিটি  নারীকে  ।

* লাল  রং  এর  কার্ড  তাঁদের  দেওয়া হয়  যাঁদের  VIA টেস্টে  জরায়ুর  মুখে  কিছু  অস্বাভাবিকতা  সন্দেহ  হয় ;উক্ত  শ্রেনীর  মহিলাদের  কল্পোস্কোপি  করে  সন্দেহজনক  অংশ  থেকে  কিছুটা  মাংশ  কেটে  বায়োপসি  করতে  দেওয়া  হয় । বায়োপসি রিপোর্ট  অনুযায়ী  পরবর্তী  চিকিৎসা  করা হয়  ; ফলে  জরায়ুর মুখের  ক্যান্সার  হয়না ।

 লাল  কার্ড  মানে  ক্যানসার  হয়েছে  বুঝায়  না – সতর্কতা  অবলম্বন   এবং  জরায়ুর  মুখের ক্যানসার প্রতিরোধের  এর  চিকিৎসার  জন্য  দেওয়া  হয় ।  এক্ষেত্রে  ডাক্তারের  পরামর্শ  ও চিকিৎসা  নিতে  হবে  জরুরী ভিত্তিতে ।

লাল  কার্ড  র্নিয়ে  কিছু  মাহিল    ক্যান্সার       ভয়ের  ভীতি নিয়া    অন্য ডাক্তারের   শরণাপন্ন হয়ে বলে তাদের   ক্যান্সার   হয়েছে l  তাঁদের এ ধারণা   যে সঠিক নয় তা  বুঝানো    অতীব জরুরী l

তাঁদের  এ  ভুল  ধারনার  সুজোগ  নেন  কিছু  দালাল – যাঁরা  সেসব  মহিলাদের   ক্যান্সারের  ভয়  দেখায়ে  জরায়ু  ফেলে  দেওয়ান ।

কাজেই  আমাদের  সচেতন  হতে  হবে ।