গর্ভফুলের জরায়ুর দেওয়ালে অসাভাবিক বৃদ্ধির কারন উপসর্গ ঝুঁকি ও প্রতিকর

গর্ভফুলের জরায়ুর দেওয়ালে অসাভাবিক বৃদ্ধির কারন উপসর্গ ঝুঁকি ও প্রতিকর :

অনেক ক্ষেত্রে কোনো কারন পাওয়া যায় না ।

বাস্তবে  বেশ  কিছু  অবস্থাকে   কারনের  উৎস  মনে  করা  হয় ; সেগুলো *

আগের  সিজারিয়ান  সেকশন  এর সময়  গর্ভফুলের  ঠিক পিছনের  জরায়ুর  মাংস  নস্ট  হলে

পূর্বে  D&C হলে

গর্ভপাত  বা ডেলিভারির  পর  জরায়ুতে ইনফেকশন  হলে

আগে  অনেক সন্তানের  মা  হলে

জরায়ুর  ২ টি  দেওয়াল  একত্রে  লেগে  থাকার  পর  গর্ভধারণ  করলে  ।

উপসর্গ  :

কোনো  কোনো  ক্ষেত্রে  কোনই  উপসর্গ  থাকেনা

গর্ভের  শেস  ৩ মাসে  জরায়ু  থেকে  সামান্য  বা বেশি রক্ত যেতে  পারে -মা  রক্তশূন্য  হয়

সময়ের  আগে  ডেলিভারি  ব্যথা  উঠতে  পারে

মাঝে  মাঝে  গর্ভবতী  তলপেটে  ব্যথা  অনুভব  করেন

ঝুঁকি : নির্ভর  করে  গোর্ভোফূল  জরায়ুর  দেওয়ালে  কি  পরিমান  ঢুকে –

যদি  শুধু জরায়ুর  দেওয়ালে  গভীরভাবে   বাড়ে  কিন্তু  জরায়ুর  মাংস ভেদ  না করে(placenta  acreta)  তবে  কম রক্তপাত  হয়  প্রেগনেন্সি  ও ডেলিভারিt উভয়  সময়ে ।

গর্ভফুল যদি  জরায়ুর  মাংসের  ভিতর  ঢুকে  যাই (placentআ increta ) তবে মায়ের  জরায়ু  থেকে  গর্ভাবস্থায়  প্রচুর  রক্তপাত  ঘটলে  রুগীর  মৃত্যুর  ঝুঁকি  বাড়ে  সময়মতো  ও সঠিক  পরিমান  রক্ত  শরীরে  প্রয়োগ  না করলে

গোর্ভোফূল  জরায়ু পুরো  ভেদ  করলে  রুগীর  রক্তপাতের  সাথে  জরায়ুর  আসেপাশের  অঙ্গকে  ফুটো  করে .বিশেস  করে  মূত্রথলিকে ; এহেনঅবস্থার  মোকাবিলা  করার  জন্য  ভালো  হাসপাতাল .দক্ষ  সার্জন  রক্তের  ডনার  জরুরি ।

সুতরাং .গর্ভকালীন  সময় থেকে  ডাক্তার  ও পার্টিকে  প্রস্তুত  থাকতে  হবে  জটিলতায় না পড়ে  গর্ভবতীর  প্রান  রক্ষার  জন্য ।

ডাঃ নুরজাহান বেগম

সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়