গর্ভাবস্থায় কুসংস্কার ও বর্জনীয় তথ্য :

গর্ভাবস্থায়  কুসংস্কার  ও বর্জনীয়  তথ্য :

কুসংস্ক কি ?

অযৌক্তিক /অবৈজ্ঞানিক ভ্রান্ত  বিস্বাস ।এটা  ইসলাম  সমর্থিত  নয় । অশিক্ষা /অজ্ঞানতা / গোড়ামি  বা  একগুঁয়েমি  থেকেই  কুসংস্কার এর  সূত্রপাত  হয় । কুসংস্কার ব্যক্তিগত .পারিবারিক .সামাজিক  ব্যাধি  যা  মানসিক  ও  শারীরিক  সুস্থতা  প্রতিহত  করে ।

গর্ভাবস্থায় কি  কি কুসংস্কার পরিলক্ষিত  হয় ?

* জোড়া  কলা  কলা / ফল

 খাওয়া  যাবেনা ; জমজ  বাচ্চা  হবে ।

জমজ  বাচ্চা  হয়  ২ টি  শুক্রানু এবং  ডিম্বানুর  মিলনের  ফলে অথবা  ভ্রুন  বিভক্ত  হয়ে ।

* খাশির  মাংশ  খেলে  বাচ্চা  অতিরিক্ত  পশমযুক্ত  হবে । ইহা  বিজ্ঞানভিত্তিক  নয় ।

*  বোয়াল .বাইম   এবং

 পাঙ্গাস   মাছ  খেলে  বাচ্চার মুখ  ঐ  সব  মাছের  মতো  হবে ।

 সবধরনের  মাছ  খাওয়া  দরকার ।

* সামুদ্রিক  মাছ  খেলে  বাচ্চারা  জন্মগত  ত্রুটি হবে ?

বরং  সামুদ্রিক  মাছে  ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড  যা  বাচ্চাআর ব্রেন  গঠনের  জন্য  অত্যন্ত   দরকার ।

*  ডাবের  পানি  খেলে  বাচ্চার  চোখ খয়েরি  হবে – সম্পূর্ন  ভুল । গর্ভবতীর  ডাব  খাওয়া  দরকার ।

* যেকোণো  কালো  খাবার  খেলে  বাচ্চা  কালো  হবে ; পুরোপুরি  ভিত্তিহীন ।

 *  সূর্য -চন্দ্র  গ্রহনের  সময়  না  খেয়ে  চিত হয়ে  শুয়ে  থাকতে  হবে ।  অনাহারে  থাকলে  মা – বাচ্চা  উভয়েই  ক্যালরি  ঘাটতির  শিকার  হয় ।

অবশ্যই  বর্জনীয় ।

* দুপুবেলা  সন্ধ্যা  ও মধ্যোরাতে  গর্ভবতির  বাড়ি  থেকে  বের  হওয়া  যাবেনা । ইহার  কোনো সত্যতা  নেই ।

* লোহার  টুকরো / ম্যাচ   সাথে  বহন করলে  জিন – ভূতের  নজর  লাগাবেনা  বা তারা  মা- বাচ্চাআর উপর  আসর  করবেনা ।

* ঝুলানো  পেট  হলে  ছেলে  হবে  এবং  বড়  পেট  বড়ো  হলে  মেয়ে  বাচ্চা  হবে ।  মেয়ে  হবে   বলে  গর্ভবতীআর পরিচর্যা   কমে  যায় ।

 বাচ্চার  লিংগো   সম্পূর্ন  নির্ভর  করে  পুরুষের  শুক্রানুর  Y  chromosome  এর  উপর ।

*  খাবার  কম  খেলে  বাচ্চা  ছোটো  থাকবে  বলে  নরমাল ডেলিভারি  সহজ  হবে  নচেৎ  সিজার  করতে  হবে ।

সুসম  ও  পুস্টিকর  খাবার  খেতে  হবে ।

* কঠোর  পরিশ্রম  করলে  নরমাল  ডেলিভারি  হবে ।

*  পানি  কম  খেলে  শরীরে  পানি  জমবেনা । প্রচুর  পরিমানে  পানি  পান  করলে  মা- বাচ্চা  ভালো  থাকে  ।

আসুন   আমরা সচেতন  হই এবং  কুসংস্কারজীবন – যাপন  করি ।