প্রসবপরবতী শরীরচর্চা/ ব্যায়াম :

প্রসবপরবতী  শরীরচর্চা/ ব্যায়াম : 

গর্ভাবস্থায়  মেয়েদের  শরীরে  বেশ  কিছু  পরিবর্তন  হয় – যেগুলো  সৃস্টিকর্তার  অশেষ  মহিমায়  গর্ভপূর্ব  অবস্থায়  ফিরে  যায় । আমাদেরও  কিছু  যত্নবান  হতে  হয় ; যত্নের  পাশাপাশি  ব্যায়াম  করলে  সঠিক  শারীরিক  গঠন ও মানসিক  প্রফুল্লতা  অর্জিত হয় ।

ব্যায়ামের  উপকারিতাগুলো  হচ্ছে –

* পেটের  ও  বোস্তীকোটোরের  মেঝের / তলের  ঢিলা  মাংশপেশীগুলো  আটসাট  হয়ে

বলিস্ঠো  হওয়া ; ফলে  পেট  ছোটো  হয় / ঝুলে  পড়েনা , প্রস্রাব – পায়খানা  নিয়ন্ত্রনে  থাকে ।

* মন – মেজাজ  ফুরফুরে  থাকা

* মানসিক  চাপ  কমে

* প্রসবপরবতী ডিপ্রেশন  হয়না

* ঘুম  ভালো  হয় ।

 * শরীরের ওজন  কমে

কখন থেকে  ব্যায়াম করা  যাবে ?

# জটিলতা বিহীন নরমাল  ডেলিভারি  হলে ৬ সপ্তাহ  পূর্ন  হলে ।

# সিজারের  বেলায় ২/ ৩ মাস পর (ডাক্তার  বলে  দিবেন ) ।

কিভাবে  করতে  হবে ?

দেখানোই  ভালো – ডাক্তার  শিখায়ে  দিবেন

প্রসবপরবতী চেক – আপে (৬ সপ্তাহে ),

লিখে  বুঝানো  কঠিন – তবুও  বুঝার  চেস্টা  করার  অনুরোধ  রইলো –

১। নিচে  সমতল  জায়গায়  মাদুর  পেতে / শক্ত  বিছানায়  চিৎ  হয়ে  শুয়ে  হাঁটু  ২ টো  ভাজ করে  ও  

পাতা  পা  দুটো   মেঝেতে  /বেডে /মাদুরে  রেখে  প্রস্রাব – পায়খানা  বন্ধ  করার  ভাব  করতে  হবে অর্থাৎ  যোনিপথের ও .মূত্রনালীর  মুখ ও পায়ু  পথের    আশেপাশের  মাংসপেশী  কুচকাতে  হবে  এমন  ভাবে  যা  আমরা  হঠাৎ  প্রস্রাব  ও  পায়খানা  গ্যাস  বন্ধ   করতে  করে  থাকি ।  মাংশপেশী  কুচকায়ে  ৫ থেকে  ১০ সেকেন্ড   ধরে  রাখতে  হবে  , তারপর  সেগুলোকে ধীরে  ধীরে  সিথিল  করতে  হবে ।  এ  ব্যায়াম দিনে  ৩ বার  করতে  হবে ; প্রতিবারে  ১০ বার  করা  ভালো  এতে   বোস্তীকোটোরের মেঝের  মাংশপেশী  বোলিস্ঠো  হবে ।  ফলতঃ  হাঁচি – কাশি  বা  চাপে  হঠাৎ  করে  প্রস্রাব  ঝরবেনা ,  পায়ুপথ   দিয়া  গ্যাস  বা  পাতলা  পায়খানা  বের  হবেনা এমনকি  জরায়ু  নিচে  নামবেনা  ।

২। চিৎ  হয়ে  শুয়ে   পাতা  পা  ২ টোর  গোড়ালি  মাদুরে  রেখে  দীর্ঘ  স্বাস  নিয়া  পেটের   খোলস / নাভি  ভিতরে ( পিঠের  দিকে ) নিতে  হবে অর্থাৎ  পেট ছোটো  করতে হবে   এবং  ধীরে  ধীরে  স্বাস ছেড়ে  পেট  স্বাভাবিক  অবস্থানে  আনতে  হবে -এতে  পেটের  মাংশ ও ত্বক শক্ত  হবে ।

৩।  নরম পাতলা  বালিশ এ  মাথা  রেখে  চীত হয়ে  শুয়ে  হাত  ২ টো  পাশে  রেখে  মাথা  ও ঘাড়  উঁচু  করে  ভাজ করা  হাঁটুর  দিকে  নিতে  হবে এবং   ৩ সেকেন্ড  এভাবে  রেখে  ধীরে  ধীরে  মাথা  ও কাঁধ  বালিশে  ও বিছানায়    রাখতে   হবে ।

এতে  পিছনের  ও  ও কাঁধের  এবং কোমরের  মাংসপেশী  শক্ত হবে ।