মেয়েদের পিরিয়ডে পেটে ব্যথা (Dysmenorrhoea) :

মেয়েদের    পিরিয়ডে   পেটে  ব্যথা (Dysmenorrhoea) :

যৌবন  প্রাপ্ত  হলেই ৫০% এরও  বেশি  মেয়ে মাসিক শুরুর  আগে এবং  পুরো পিরিয়ড  ধরে ( কিছু  ক্ষেত্রে ) তলপেটের  ব্যথায়  কস্ট  পান । চিকিৎসা  বিজ্ঞানে   উক্ত  ব্যথাকে  dysmenorrhoea  বলে ।

এ  ব্যথা  প্রথম  পিরিয়ড (menerchae )শুরুর  পর  পরই হয়ে  থাকে ; সাধারনত  ১ বছরের  মধ্যে   হয়ে থাকে ।

উক্ত   ব্যথা   শুধু  তলপেটেই  সীমাবদ্ধ  থাকে  না – উরু এবং  পিঠের  নিচের  দিকে  বা  কোমরের  উপরেও  হতে  পারে ।   এমনকি  পুরো শরীরে  ব্যথা  হতে  পারে ।

.

ব্যথা  ছাড়া  অন্যান্য  উপসর্গ যেমন – বমি ভাব .মাথা  ঘোরা / ব্যথা .মাথা .ঝি  ঝি  করা .হাত – কামড়ানো .খিটমিটে  মেজাজ .ক্ষুধামন্দা .অরুচি .হাত পায়ে  খিল  ধরা .জীবন – যাত্রায়  ছন্দ  বিচ্যুতি  ..কাজে  অমনোযোগী ইত্যাদি ।

 কারন ও  ধরন :

কম  বয়সে   পিরিয়ডে  ব্যথা  হলে সুনির্দিষ্ট  কারন  খুঁজে  পাওয়া  যায়না ।

 ডিম্বানু  মুক্ত  হওয়ার  প্রক্রিয়ার  কারনে হরমোনের  তারতম্য  ঘটে  বলেই ব্যথা  ও উপরোক্ত  উপসর্গগুলো  দেখা  দেয় ।  ডিম্বানু  মুক্ত  হওয়া  থেকে  পিরিয়ড  আরম্ভ  হওয়ার  ১/২  দিন  পর্যন্ত  বা  পুরো পিরিয়ড ধরে  ব্যথা  থাকতে  পারে ।  যে-ক্ষেত্রে  স্পস্ট  কারন  নায় সেটাকে  প্রাইমারী  ডিজমেনোরিয়া  বলে । কম বয়সী  মেয়েদের  এ  ধরনের ডিজমেনোরিয়া হয় । জরায়ু  সংকুচিত হয়ে  মাসিকের  রক্ত  বের  করতে  শুরু  হলেই  ব্যথার  মাত্রা  কমতে  থাকে ।

সুতরাং .সহজে  বুঝা  যায় – ডিম্বানু  বের  হওয়া এবং  জরায়ু  সংকোচন  হওয়ার  জন্যই  মূলতঃ প্রাইমারী ডিজমেনোরিয়া হয় ।

 আরো  মনে  করা  হয়  যে .  পিরিওডের  আগে জরায়ুর  ভিতরের  দেওয়ালে  prostaglandin  নামক রাসায়নিক  পদার্থ  জমা  হয়  বলে  ব্যথা  হয় । পিরিয়ডেরx  সময়  এ  দেওয়াল  ভাংতে  শুরু  করলেই  ব্যথা  কমতে  থাকে ।

 prostaglandin  কমার  অনুপাতে ব্যথা

কমে  । তীব্র  ব্যথার  কারনে  মেয়েরা  স্কুল / কলেজ  ও  অফিসে  যেতে  পারে  না ।

অথচ  চিকিৎসাযোগ্য ।

সবচেয়ে  উত্তম  চিকিৎসা  নরমাল  ডেলিভারি ।

 অপরপক্ষে  সেকেন্ডারি  ডিজমেনোরিয়াতে   সুনির্দিষ্ট কারন  পাওয়া   যায়  এবং  ৩০ বছরের  কাছাকাছি  সময়ে   হয়ে  থাকে ।

কারনগুলো :

এন্ডোমেট্রিওসিস

এডেনোমাওসিস

ফায়ব্রোয়েড

পেল্ভীক  ইনফ্ল্যামেটরি  ডিজিজ (PID)-  ইহা  বসতিকোটরের  ইনফেকশন ।

পেল্ভীক  কোন্জেষোন – রক্তের  নালি  ও টিসু  স্ফীত  হয় ।

উভয়  ধরনের  ডিজমেনোরিয়া  মেয়েদের  জীবনকে  অতিস্টি করে  তুলে ।

 চিকিৎসা :

ব্যথানাশক  ঔষধ ।

ocp  (ওরাল  cotaceptive  pill )-  দয়া  করে

উপরোক্ত  মেডিসিনগুলো নিজেরা  কিনে  খাবেন  না  ; ডাক্তারের  প্রেসক্রিপশন  অনুযায়ী  খাবেন ।

এন্ডোমেট্রিওসিস. এডেনোমাওসিস. ফায়ব্রোয়েড. PID এর  চিকিৎসা  করা ।

 LUNA – laparoscopic nerve  ablation.- বর্তমানে  করা হয়না  ।

লজ্জা  না  করে  পিরিয়ডে ব্যাথা  হলে  বিলম্ব  না করে ডাক্তারের  চিকিৎসা  নিয়া   স্বাভাবিক  জীবনযাপন  করার  জন্য  অনুরোধ  রইলো ।